ক্যাটাগরি: ছাত্র মজলিস কর্মী সিলেবাস ছাত্র মজলিস সহযোগী সদস্য সিলেবাস ছাত্র মজলিস সদস্য সিলেবাস

সংবিধান

বইয়ের পৃষ্ঠা সংখ্যা: ১৯

বর্ণনা

সংবিধান

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস

 

প্রকাশকাল
প্রথম প্রকাশ: আগস্ট ১৯৯০
দ্বিতীয় প্রকাশ: এপ্রিল ১৯৯৪
তৃতীয় প্রকাশ: মার্চ ১৯৯৭
চতুর্থ প্রকাশ: মার্চ ২০০০
পঞ্চম প্রকাশ: আগস্ট ২০০২
ষষ্ঠ প্রকাশ : জুলাই ২০০৯
সপ্তম প্রকাশ: মে ২০১৩ (বাংলা ও ইংরেজি সমন্বিত সংস্করণ)
অষ্টম প্রকাশ: মে ২০২৩ (বাংলা ও ইংরেজি সমন্বিত সংস্করণ)


প্রকাশনায়
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস
কেন্দ্রীয় কার্যালয়: ২/২, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
ফোন: ০১৭১১-৩১৮৩২৭
মূল্য: ২০.০০ (বিশ) টাকা মাত্র
Website: www.chhatra-majlis.org.bd

 

Constitution

Published by Bangladesh Islami Chhatra Majlis

Central Office: 2/2, Purana Paltan, Dhaka-1000.

Phone: 01711-318327,

Price: 20.00 Only 

সংবিধান

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

ভূমিকা

এক: আল্লাহতায়ালা নিখিল বিশ্বের একমাত্র স্রষ্টা ও মালিক। এর স্থিতি, সংরক্ষণ ও ক্রমবিকাশ সবকিছুরই তিনি নিয়ন্ত্রক। তাঁর হাতেই জীবন ও জীবিকার চাবিকাঠি। প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্বের অধিকারী একমাত্র তিনিই। তিনি বিধানদাতা। তাঁর ইচ্ছা ও আদেশ নিরংকুশভাবে আসমান ও জমিনের প্রতিটি অণু-পরমাণুর মধ্যে সক্রিয় রয়েছে। তিনি পরম জ্ঞানী। অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের কোনো কিছুই তাঁর জ্ঞানের বাইরে নেই। তিনি সকল শক্তি ও ক্ষমতার উৎস। যাবতীয় উত্তম গুণাবলীর তিনি আধার। তাঁর কোনো শরীক নেই। তিনি সর্বপ্রকার দুর্বলতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত এবং সকল ইবাদত ও আনুগত্যের একমাত্র হকদার।


দুই: মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শনের জন্যে আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে হেদায়াতের বিধান ও গ্রন্থাবলীসহ নবী ও রাসূলদের (আঃ) প্রেরণ করেছেন। তাই মানব জাতির সঠিক পথ চলা এবং দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ লাভের জন্য যে জ্ঞান ও পথ নির্দেশ তথা জীবন ব্যবস্থা প্রয়োজন, তার মূল উৎস হচ্ছে আল্লাহর প্রেরিত গ্রন্থসমূহ ও তাঁর রাসূলগণের (আঃ) জীবনাদর্শ। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী। তাঁর আনীত গ্রন্থ আল-কোরআন ও তাঁর জীবনাদর্শ (সুন্নাহ) কিয়ামত পর্যন্ত সমগ্র মানবজাতির জন্যে সঠিক পথ নির্দেশক এবং দুনিয়া ও আখেরাতের কল্যাণ লাভের একমাত্র উৎস।

তিন: পৃথিবীর জীবনই মানব জীবনের শেষ নয়। মৃত্যুর পর মানুষকে আখেরাতের অনন্ত জীবনে প্রবেশ করতে হবে। তখন তাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে পার্থিব জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত ও কাজের হিসাব প্রদান করতে হবে। সেদিন আল্লাহর বিচারে যারা মুক্তিপ্রাপ্ত হবেন, তারাই প্রকৃতপক্ষে সফলকাম, অনন্ত জান্নাত লাভ করবেন। প্রকৃত ব্যর্থতা তাদেরই যারা সেদিন জাহান্নামের উপযুক্ত হবে। তাই মূলত: মানুষের সফলতা ও ব্যর্থতা দুনিয়ার জীবনের বস্তুগত সাফল্য ও ব্যর্থতার উপর নয় বরং পরকালের সফলতা ও ব্যর্থতার উপরই তা নির্ভরশীল।

চার: জীবনের সকল ক্ষেত্রে আল্লাহর দাসত্ব কবুল ও নবীগণের (আঃ) আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মানবতার মুক্তি ও কল্যাণ নিহিত। যখনই কৃষ্টি, সভ্যতা ও সমাজ ব্যবস্থাকে স্রষ্টা প্রদত্ত দিক নির্দেশনা থেকে বিচ্যুত করা হয়েছে, তখনই মানবতাকে অকল্যাণ ও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে- ইতিহাস তার সাক্ষী। আজকের দুনিয়ার যাবতীয় অশান্তি, বিপর্যয়, শোষণ, জুলুম ও নির্যাতনের মূল কারণও এটাই। কাজেই বর্তমান দুনিয়ায় অশান্তি ও বিপর্যয় দূর করে সাম্য, শান্তি, কল্যাণ, সমৃদ্ধি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হলে, মানবতাকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হলে গোটা মানবজাতিকে ইতিহাস উত্তীর্ণ ইসলামের সুমহান আদর্শের দিকে ফিরে আসতে হবে। অর্থাৎ সর্বপ্রকার তাগুত ও গায়রুল্লাহর প্রভুত্ব, সার্বভৌমত্ব ও দাসত্ব পরিহার করে একমাত্র আল্লাহর প্রভুত্ব ও সার্বভৌমত্বের নিকট পরিপূর্ণ ও নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং সর্বপ্রকার মত ও পথ পরিহার করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এবং খেলাফতে রাশেদার আদর্শ অনুযায়ী ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পুনর্গঠন করতে হবে। এছাড়া মুক্তি ও কল্যাণের দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।

পাঁচ: ইসলাম কোনো কল্পিত আদর্শের নাম নয়। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মানুষের ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে এর বাস্তব প্রয়োগ করে গেছেন। খেলাফতে রাশেদার যুগই এর অনুসরণীয় আদর্শ বা মডেল (গড়ফবষ)। 

পুণ্যাত্মা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ), তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন, সালফে সালেহীন, হকপন্থী ওলামায়ে কেরাম এবং যুগে যুগে মুজাদ্দিদ ও আল্লাহর পথে উৎসর্গকৃতপ্রাণ মনীষীগণের কঠোর ত্যাগ-কোরবানি, সংগ্রাম ও জিহাদের যে স্বর্ণোজ্জ্বল ধারা সৃষ্টি হয়েছে তা-ই মানবতার হেদায়াত, কল্যাণ ও মুক্তির প্রকৃত পথ।

উপরোক্ত বিশ্বাস ও দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশে এবং চূড়ান্তভাবে বিশ্বব্যাপী ইসলামী সমাজ ও রাষ্ট্র তথা খেলাফত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশের ছাত্র সমাজকে সংগঠিত করে এক ব্যাপক ও সুশৃঙ্খল আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য এই সংবিধান প্রণীত ও প্রবর্তিত হলো।

প্রথম অধ্যায়

নাম

ধারা-১: এই সংগঠনের নাম “বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস”

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ধারা-২:  এই সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ব্যক্তি জীবনের পরিশুদ্ধি, সমাজ ব্যবস্থার সার্বিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ইহকালীন কল্যাণ লাভ এবং এই  প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতে আল্লাহর সন্তোষ ও পরকালীন মুক্তি অর্জন।

মৌল কর্মনীতি

ধারা-৩: সার্বিক বিষয়ে আল-কোরআন, রাসূল (সাঃ)-এর সুন্নাহ এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের আদর্শ অনুসরণ।

কর্মসূচি

ধারা-৪: দাওয়াত: ছাত্র সমাজের কাছে ইসলামের সৌন্দর্য তুলে ধরা, তাদের মধ্যে ইসলামী জ্ঞানার্জনে উৎসাহ সৃষ্টি এবং ইসলামের বিধি-বিধান অনুসরণের দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত 
করা।
    সংগঠন: যেসব ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে অংশ নিতে আগ্রহী তাদেরকে এই সংগঠনে  অন্তর্ভুক্ত করা।
    প্রশিক্ষণ: এই সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত ছাত্রদেরকে ইসলামী জ্ঞান প্রদান, সে অনুযায়ী চরিত্র গঠন এবং মানবীয় গুণাবলীর বিকাশ সাধনের মাধ্যমে তাদেরকে ইসলামী সমাজ বিপ্লবের যোগ্য কর্মী হিসেবে গড়ে তোলার পদক্ষেপ গ্রহণ।
  আন্দোলন: ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে শিক্ষাব্যবস্থার পুনর্গঠন, ছাত্র সমাজের সমস্যা সমাধানে ভূমিকা পালন এবং শোষণ, জুলুম, নৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবক্ষয় থেকে মানবতার মুক্তির জন্য ইসলামী বিপ্লবের লক্ষ্যে জনমত গঠন ও আন্দোলন গড়ে তোলার প্রচেষ্টা  চালানো।


দ্বিতীয় অধ্যায়

সদস্য
ধারা-৫:

     (ক) যদি কোনো ছাত্র ইসলামী নীতিমালার আলোকে নিজের জীবন গঠন এবং সমাজে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে তার জীবনের প্রধান লক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করেন, এই সংগঠনের কর্মসূচি ও কার্যপ্রণালীর সাথে পূর্ণ ঐকমত্য পোষণ করেন এবং তা বাস্তবায়নের প্রচেষ্টায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, এই সংগঠনের সংবিধানকে সম্পূর্ণরূপে মেনে চলেন, তার জীবনে ইসলাম নির্ধারিত মৌলিক বিধানসমূহ যথাযথভাবে পালন করেন, কবীরা গুনাহসমূহ থেকে দূরে থাকেন এবং সংগঠনের আদর্শ, কর্মসূচি ও কর্মপন্থার বিপরীত কোনো সংস্থার সাথে সম্পর্ক না রাখেন, তাহলে তিনি এই সংগঠনের সদস্য হওয়ার যোগ্য হবেন।

    (খ) সদস্য হতে ইচ্ছুক কোনো ছাত্র কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট নির্ধারিত নিয়মে আবেদন করবেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি তা মঞ্জুর করবেন এবং তার সদস্য শপথ নেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। মঞ্জুর না করলে তার কারণ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের নিকট ব্যাখ্যা করতে বাধ্য থাকবেন।

     (গ) কোনো সদস্য যদি সংবিধানের ৫(ক) ধারায় বর্ণিত বিষয়সমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেন অথবা সদস্য হওয়াকালীন প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেন অথবা সংগঠনের প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন করেন অথবা তাকে সংশোধনের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত সংগঠনের কাজে অবহেলা করে চলেন, তাহলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ কর্তৃক গৃহীত নির্ধারিত     পন্থায় তার সদস্যপদ বাতিল করা যাবে।

    (ঘ) যদি কোনো সদস্য তার সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিতে চান তাহলে তাকে কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট পদত্যাগপত্র পেশ করতে হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পরপরই তার সদস্যপদ বাতিল হয়ে যাবে।   

    (ঙ) কোনো সদস্যের ছাত্রজীবন সমাপ্ত হলে তার পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় সভাপতির অনুমতি সাপেক্ষে তার সদস্যপদ বিলুপ্ত হবে।

সহযোগী সদস্য
ধারা-৬:    

       (ক) যদি কোনো ছাত্র সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এবং মৌল কর্মনীতির সাথে ঐকমত্য পোষণ করেন, এই সংগঠনের কর্মসূচি ও কার্যপ্রণালীর সাথে সচেতনভাবে একমত হন, ইসলামের আবশ্যকীয় কর্তব্যসমূহ পালন করেন এবং সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন, তাহলে তিনি এই সংগঠনের সহযোগী সদস্য হওয়ার যোগ্য হবেন।   

     (খ) সহযোগী সদস্য হতে ইচ্ছুক কোনো ছাত্র কেন্দ্রীয় সংগঠন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়মে কেন্দ্রীয় সভাপতি অথবা তার নিযুক্ত প্রতিনিধির কাছে আবেদন করবেন এবং কেন্দ্রীয় সভাপতি অথবা তার নিযুক্ত প্রতিনিধি আবেদনপত্র মঞ্জুর করে নেবেন।

      (গ) যদি কোনো সহযোগী সদস্য ৬(ক) ধারায় বর্ণিত বিষয়সমূহ আংশিক বা পূর্ণভাবে লঙ্ঘন করেন তাহলে কেন্দ্রীয় সভাপতি অথবা তার নিযুক্ত প্রতিনিধি উক্ত সহযোগী সদস্যের সহযোগী সদস্যপদ বাতিল করতে পারবেন।

প্রাথমিক সদস্য
ধারা-৭: যদি কোনো ছাত্র সংগঠনের আদর্শ ও কর্মসূচি সমর্থন করেন এবং সংগঠনের নির্ধারিত প্রাথমিক সদস্য ফরম পূরণ করেন তবে তিনি এই সংগঠনের প্রাথমিক সদস্য হিসেবে গণ্য হবেন।

তৃতীয় অধ্যায়

সাংগঠনিক কাঠামো
ধারা-৮: কেন্দ্রীয় সংগঠন, সদস্য শাখা, জেলা শাখা ও সহযোগী সদস্য শাখা সমন্বয়ে এই সংগঠনের সাংগঠনিক কাঠামো গঠিত হবে। তবে প্রয়োজন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সাথে পরামর্শক্রমে সংগঠনের অন্যান্য স্তর উদ্ভাবন ও পরিচালনা করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় সংগঠন
ধারা-৯: কেন্দ্রীয় সংগঠন কেন্দ্রীয় সভাপতি, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ এবং একটি কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সমন্বয়ে গঠিত হবে।

কেন্দ্রীয় সভাপতি
ধারা-১০:

     (ক) এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সংগঠনের সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে এক বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন।

    (খ) যদি কোনো কারণবশত কেন্দ্রীয় সভাপতির পদ স্থায়ীভাবে শূন্য হয় তাহলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ, পরিষদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত করে যথাশীঘ্র সম্ভব সদস্যদের ভোটে সেশনের অবশিষ্ট সময়ের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। যদি কেন্দ্রীয় সভাপতি সাময়িকভাবে ছুটি গ্রহণে বাধ্য হন, তাহলে তিনি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সাথে পরামর্শ করে পরিষদের মধ্য থেকে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী সভাপতি নিযুক্ত করতে পারবেন।

    (গ) কেন্দ্রীয় সভাপতি বা অস্থায়ী সভাপতি নির্বাচন বা নিযুক্ত হওয়ার পর কার্যভার গ্রহণের পূর্বে সদস্য সম্মেলনে অথবা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশনে সংবিধানের পরিশিষ্টে বর্ণিত সভাপতির শপথ গ্রহণ করবেন।

    (ঘ) কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য হাসিল, পরিচালনা, কর্মসূচির বাস্তবায়ন এবং সর্বোৎকৃষ্ট সাংগঠনিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও সংরক্ষণ।

   (ঙ) কেন্দ্রীয় সভাপতি সব সময় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের পরামর্শ অনুসারে কাজ করবেন। কিন্তু দৈনন্দিন কাজ সম্পাদন ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সিদ্ধান্ত নেই এমন কোনো বিষয়ে জরুরি ও সাময়িক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন হলে তিনি এ নিয়মের অধীন থাকবেন না।

    (চ) সংবিধানের বিভিন্ন ধারায় কেন্দ্রীয় সভাপতিকে যেসব ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে তিনি নিজে অথবা কর্মীদের মাধ্যমে সেগুলো প্রয়োগ করতে পারবেন।

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ

ধারা-১১:

     (ক) সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে প্রতি পঁচিশ জনে একজন হারে এবং অবশিষ্ট সংখ্যার জন্য একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ এক বছরের জন্য গঠিত হবে এবং সভাপতি প্রয়োজনবোধ করলে যাদের সংখ্যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না, এমন সংখ্যক সদস্যকে এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের প্রাক্তন সদস্যদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ দু’জনকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের পরামর্শক্রমে পরিষদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সভাপতি থাকবেন এবং সেক্রেটারি জেনারেল পদাধিকারবলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য হবেন।

    (খ) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যগণ কেন্দ্রীয় সভাপতির ব্যবস্থাপনায় শপথ গ্রহণ করবেন।

    (গ) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদে নির্বাচিত কোনো সদস্যের পদ শূন্য হলে তিন মাসের  মধ্যেই তা পূরণ করতে হবে।

    (ঘ) সামগ্রিকভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের ও ব্যক্তিগতভাবে এর সদস্যদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে- নিজেদের তত্ত্বাবধান, কেন্দ্রীয় সভাপতির তত্ত্বাবধান, সংগঠনে ইসলামী নীতির অনুসৃতির তত্ত্বাবধান, সংগঠনের যে কোনো ত্রুটি দূরীকরণ, সংগঠনের সামগ্রিক কাজের মৌলিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, কেন্দ্রীয় সভাপতিকে পরামর্শ দান, নিঃসংকোচ মত প্রকাশ এবং কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশনে নিয়মিত যোগদান, অপারগতায় অভিমত প্রেরণ।

    (ঙ) বছরে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের দু’টি সাধারণ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রয়োজনবোধ করলে অথবা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের এক পঞ্চমাংশ সদস্য     অথবা সংগঠনের সদস্যদের এক দশমাংশ কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট লিখিতভাবে দাবি করলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন অবশ্যই অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের দাবি পেশ করার দিন থেকে এক মাসের মধ্যেই অধিবেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

    (চ) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশনে পরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার এক তৃতীয়াংশ সদস্য উপস্থিত হলেই কোরাম হবে। কিন্তু কোরাম না হওয়ার কারণে কোনো অধিবেশন মুলতবি হলে পরবর্তী অধিবেশনের জন্য কোরামের প্রয়োজন হবে না। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের প্রতিটি সিদ্ধান্ত উপস্থিত সদস্যদের অধিকাংশের মতানুযায়ী হবে।

    (ছ) যদি কোনো ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয় এবং যদি একে অপরের রায় মেনে নিতে না পারেন, তাহলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংগঠনের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতানুযায়ী নির্ধারিত হবে।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ
ধারা-১২:

    (ক) কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সেক্রেটারি জেনারেল ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক সম্পাদকের সমন্বয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গঠন করবেন। কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনবোধে পূর্ণ বা আংশিকভাবে তাঁর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের রদবদল করতে পারবেন।

    (খ) সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বিভাগগুলোর কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা, অধঃস্তন সংগঠন ও কর্মীদের উপর দৃষ্টি রাখা এবং কেন্দ্রীয় সভাপতিকে সমস্ত বিষয়ে ওয়াকিফহাল রাখা।

    (গ) কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে সর্বতোভাবে সহযোগিতা করাই কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ তাদের কাজের জন্য সভাপতির নিকট দায়ী থাকবে।

কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন
ধারা-১৩: বছরে কমপক্ষে একবার কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ এই সদস্য সম্মেলনের কর্মসূচি নির্ধারণ করবে।

সদস্য শাখা
ধারা-১৪:

    (ক) দু’য়ের অধিক সদস্য নিয়ে “সদস্য শাখা” গঠিত হবে। সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে সদস্য শাখার সভাপতি এক বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। অনিবার্য কারণে কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশে সদস্যগণ বছরের যে কোনো সময়ে সদস্য শাখার সভাপতি নির্বাচিত করতে পারবেন।

    (খ) কেন্দ্রীয় পরিকল্পনার ভিত্তিতে সংগঠনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন ও কেন্দ্রীয় সভাপতির নির্দেশাবলী পালনই সদস্য শাখার দায়িত্ব ও কর্তব্য।

জেলা শাখা
ধারা-১৫: কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সাথে পরামর্শক্রমে জেলা সংগঠনের গঠন ও পরিচালনা পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।

সহযোগী সদস্য শাখা

ধারা-১৬: যেখানে সদস্য শাখা নেই সেখানে দুয়ের অধিক সহযোগী সদস্য নিয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতির অনুমোদনক্রমে “সহযোগী সদস্য শাখা” গঠিত হবে। সহযোগী সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে এক বছরের জন্য সহযোগী সদস্য শাখার সভাপতি নির্বাচিত হবেন।

চতুর্থ অধ্যায়

নির্বাচন
ধারা-১৭:

    (ক) সংগঠনের সর্বপর্যায়ের নির্বাচন পদ্ধতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ নির্ধারণ করবে।

    (খ) এই সংগঠনের সভাপতি বা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বা অন্য কোনো দায়িত্বশীল নির্বাচন করা কালে ব্যক্তির আল্লাহ ও রাসূল (সঃ)-এর প্রতি আনুগত্য, তাকওয়া, আদর্শের সঠিক জ্ঞানের পরিসর, সাংগঠনিক প্রজ্ঞা, শৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতা, মানসিক ভারসাম্য, উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণী শক্তি, কর্মের দৃঢ়তা, অনড় মনোবল, আমানতদারি এবং পদের প্রতি লোভহীনতার দিকে অবশ্যই নজর রাখতে হবে।

    (গ) এই সংগঠনের যে কোনো নির্বাচনে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ক্যানভাসের অনুমতি থাকবে না। কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো গ্রুপ সৃষ্টি করা যাবে না। তবে পরামর্শ নেয়াটা ক্যানভাসের অন্তর্ভুক্ত হবে না। নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটপ্রাপ্ত ব্যক্তিই নির্বাচিত বলে ঘোষিত হবেন।

অর্থব্যবস্থা
ধারা-১৮:

    (ক) সংগঠনের প্রত্যেক স্তরে বায়তুলমাল থাকবে। কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের দান, সংগঠন-প্রকাশনীর মুনাফা এবং যাকাতই হবে বায়তুলমালের আয়ের উৎস।

    (খ) সংশ্লিষ্ট সভাপতি সংগঠনের কর্মসূচির বাস্তবায়ন ও অন্যান্য সাংগঠনিক কাজে বায়তুলমালের অর্থ ব্যয় করবেন।

   (গ) বায়তুলমালে যাকাত সংগ্রহ করতে হলে পূর্বেই কেন্দ্রীয় সভাপতির অনুমতি নিতে হবে এবং যাকাত থেকে প্রাপ্ত অর্থের হিসাব পৃথক রাখতে হবে। এই অর্থ কেবল শরীয়ত নির্ধারিত খাতে ব্যয় করা যাবে।   

    (ঘ) অধঃস্তন সংগঠনগুলো বায়তুলমাল থেকে নিয়মিতভাবে নির্ধারিত অংশ ঊর্ধ্বতন বায়তুলমালে জমা দেবে।

   (ঙ) কেন্দ্রীয় সভাপতি সামগ্রিকভাবে বায়তুলমালের আয়-ব্যয় সম্পর্কে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের নিকট দায়ী থাকবেন এবং অধঃস্তন সংগঠনগুলোর বায়তুলমালের তত্ত্বাবধান ও  নিয়ন্ত্রণ করবেন।

পদচ্যুতি
ধারা-১৯:

    (ক) কেন্দ্রীয় সভাপতি যদি স্বেচ্ছায় শরীয়তের স্পষ্ট বিধান লঙ্ঘন করেন অথবা তার কার্যক্রমে সংগঠনের ক্ষতি হবার আশংকা দেখা দেয় তাহলে তাকে পদচ্যুত করা যাবে।

    (খ) যদি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিকাংশ সদস্য কেন্দ্রীয় সভাপতির প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেন, তাহলে এক মাসের মধ্যে পূর্ণ বিষয়টি সদস্যদের নিকট পেশ করতে হবে। অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় সভাপতি পদচ্যুত হবেন। অধিকাংশ সদস্য সভাপতির সমর্থনে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ পদচ্যুত হবেন এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    (গ) সদস্যদের মধ্য হতে কেন্দ্রীয় সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করতে হলে এ প্রস্তাবের পক্ষে প্রমাণাদিসহ সদস্যদের এক দশমাংশের স্বাক্ষর নিয়ে লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের নিকট তা পেশ করতে হবে। এরপরে অনাস্থা প্রস্তাবটি এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশনে পেশ করতে হবে। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিকাংশ সদস্য কেন্দ্রীয় সভাপতির বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবটি পাশ করলে এক মাসের মধ্যেই পূর্ণ বিষয়টি সদস্যদের নিকট পেশ। করতে হবে। অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় সভাপতি পদচ্যুত হবেন। অধিকাংশ সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিলে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ পদচ্যুত হবে এবং নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

    (ঘ) যদি কেন্দ্রীয় সভাপতি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ অথবা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের কোনো নির্বাচিত সদস্যের রদবদল করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন, তাহলে তিনি সংগঠনের সদস্যদের মতামত গ্রহণ করবেন। যদি সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য তার মতের পক্ষে রায় দেন, তাহলে উক্ত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ অথবা নির্বাচিত সদস্য পদচ্যুত হবেন। কিন্তু যদি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সমষ্টিগত পদচ্যুতির ব্যাপারে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কেন্দ্রীয় সভাপতির মতের বিরোধিতা করেন, তাহলে একমাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে কেন্দ্রীয় সভাপতি অবশ্যই পদত্যাগপত্র দাখিল     করবেন।

    (ঙ) কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের কোনো সদস্য তখনই তার সদস্যপদ হারাবেন যখন তিনি সংগঠনের সদস্য না থাকেন অথবা উপযুক্ত কারণ ব্যতীত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদেও অধিবেশনে পর পর দু’বার অনুপস্থিত থাকেন অথবা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং সভাপতি তা মঞ্জুর করেন অথবা যারা তাকে নির্বাচিত বা মনোনীত করেছেন, তাদের অধিকাংশ যদি তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রকাশ করেন।

    (চ) কেন্দ্রীয় সভাপতি প্রয়োজনবোধে যে কোনো সহযোগী সদস্য শাখাকে ভেঙ্গে দিতে এবং যে কোনো সদস্য শাখাকে সাসপেন্ড করতে পারবেন, কিন্তু কোনো সদস্য শাখাকে সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দিতে হলে তাকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের পরামর্শ নিতে হবে।

সংবিধান সংশোধন
ধারা-২০:

    (ক) কোনো সদস্য এই সংবিধানে সংশোধনীর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করলে তা লিখিতভাবে কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট পৌঁছাতে হবে। কেন্দ্রীয় সভাপতি বিষয়টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদে পেশ করবেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের অধিকাংশের ভোটে প্রস্তাবটি গৃহীত হলে পরবর্তী দুই মাসের মধ্যেই দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে সংশোধনীটি মঞ্জুর করে নিতে হবে।

    (খ) এই সংবিধানের কোনো ধারা বা বিষয়ের ব্যাখ্যার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে।

বিবিধ
ধারা-২১:

    (ক) সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই সংগঠনের সাংগঠনিক বছর শুরু হবে।
    (খ) এই সংগঠনের নিজস্ব একটি পতাকা ও মনোগ্রাম (Monogram) থাকবে।
   (গ) ১৯৯০ সনের ৫ই জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এই সংবিধান গৃহীত ও কার্যকরী হয়।

পরিশিষ্ট

সদস্যের শপথ

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

“আশহাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহু।” (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বান্দা ও রাসূল)।
    আমি .......... .......... .......... .......... .......... .......... ..........

    শাখা .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... 
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সদস্য হয়ে আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনকে সাক্ষী করে ওয়াদা করছি যে:
(১) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নির্দেশিত আদেশ-নিষেধ অনুযায়ী জীবন গঠন করে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করাই হবে আমার জীবনের মূল লক্ষ্য এবং এ লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবার সংকল্প নিয়ে নিছক আল্লাহর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সদস্য হচ্ছি।

(২) আমি ইসলামী ছাত্র মজলিসের মৌল কর্মনীতি ও কর্মসূচির সমর্থন করি।

(৩) আমি সংবিধান অনুযায়ী ছাত্র মজলিসের নিয়ম-কানুন পালন করব। আমি আরও ওয়াদা করছি যে, আমার সাধ্যানুযায়ী-

(৪) আমি সমস্ত ব্যাপারে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাধারা এবং কার্যক্রমকে কোরআন ও সুন্নাহর ছাঁচে ঢেলে গঠন ও প্রয়োজনীয় দ্বীনি জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করব এবং নিজের জীবনের উদ্দেশ্য, পছন্দ-অপছন্দের মাপকাঠি ও আনুগত্যের কেন্দ্র পরিবর্তন করে শুধু আল্লাহর সন্তোষ লাভের অনুকূলে গড়ে তোলার চেষ্টা করব।

(৫) আমি অন্যান্য মানুষের বিশেষত ছাত্রদের নিকট ইসলামের আহ্বান পৌছাতে এবং তাদেরকে সংঘবদ্ধ করতে চেষ্টা করব।

(৬) আমি আমার উপর অর্পিত আমানত যথাযথভাবে রক্ষা করব।
“ইন্না সলাতি ওয়া নুসুকী ওয়া মাহ্ইয়া-ইয়া ওয়া মামা-তি লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” (আমার নামাজ, আমার সুকৃতি, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সবকিছুই আল্লাহর জন্য, যিনি সারা বিশ্বের প্রতিপালক)।
আল্লাহ আমাকে এ ওয়াদা পালন করার তাওফিক দিন। আমীন।

................................                                                                    ...........................
কেন্দ্রীয় সভাপতি                                                                           স্বাক্ষর

 

সহযোগী সদস্যের শপথ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    আমি .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... ..........
    শাখা .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... ....যাকে
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের সহযোগী সদস্য শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনকে সাক্ষী করে ওয়াদা করছি যে:
(১) আমি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের আদর্শ, লক্ষ্য ও কর্মসূচির সাথে সম্পূর্ণরূপে একমত। এ উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিস যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাতে আমি সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতা করব।

(২) আমি ইসলামের মৌলিক বিধি-বিধানসমূহ যথাযথভাবে পালন করব।

(৩ আমার উপর অর্পিত আমানত যথাযথভাবে রক্ষা করব।
আল্লাহ আমাকে এ ওয়াদা পালন করার তাওফিক দিন। আমীন।

 

.................................................                                                      ....................
কেন্দ্রীয় সভাপতি/প্রতিনিধি                                                       স্বাক্ষর

 


সভাপতির শপথ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আমি .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... ..........
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের .......... .......... .......... .......... .......... ......... সভাপতি নির্বাচিত/ নিযুক্ত হয়েছি। আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনকে সাক্ষী রেখে ওয়াদা করছি যে:
(১) আমি ছাত্র মজলিসের মূল উদ্দেশ্য হাসিল ও কার্যসূচির পরিপূর্ণতা বিধানকেই আমার  সর্বপ্রধান কর্তব্য বলে মনে করব।

(২) নিজে ছাত্র মজলিসের সংবিধান মেনে চলব এবং এর ভিত্তিতে ছাত্র মজলিসের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে, সুষ্ঠু নিয়ম-পদ্ধতি প্রতিষ্ঠিত করতে ও চালাতে এবং এর সংরক্ষণ করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করব।


আল্লাহ আমাকে এ ওয়াদা পালন করার তাওফিক দিন। আমীন।


                                                                                               ....................
                                                                                                  স্বাক্ষর

 

 

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি পরিষদ সদস্যের শপথ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

আমি .......... .......... .......... .......... .......... .......... .......... যাকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য করা হয়েছে, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনকে সাক্ষী করে ওয়াদা করছি যে:
(১) আমি ছাত্র মজলিসের শৃঙ্খলা বিধান ও এর কার্যাবলীর পূর্ণ তত্ত্বাবধান এবং সেখানে যদি কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হয়, তাহলে তা দূর করার যথাসাধ্য চেষ্টা করব।

(২) ছাত্র মজলিসের সংবিধান এবং প্রতিনিধি পরিষদের বিধি-বিধানের পূর্ণ অনুগত থাকব।

(৩) নিজের অভিমত দ্বিধাহীন চিত্তে প্রকাশ করব।

(৪) কোনো শরয়ী ওজর-আপত্তি ব্যতিরেকে পরিষদের অধিবেশনে উপস্থিত হতে অথবা অভিমত প্রেরণ করতে কোনো ত্রুটি করব না।

আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন আমাকে এ ওয়াদা পালনের ক্ষমতা দিন। আমীন।


................................                                                               ....................
কেন্দ্রীয় সভাপতি                                                                  স্বাক্ষর